আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোলেই সাউদাম্পটনকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানসিটি। চোটের কারণে দীর্ঘদিন দলে ছিলেন না হালান্ড।
তবে ফিরেই জয়ের নায়ক বনে গেলেন তিনি। যতক্ষণ খেললেন, তাতে আবারও তিনি সব আলো কেড়ে নিলেন নিজের দিকে। জোড়া গোল করেছেন এই নরওয়েজিয়ান তারক। অন্যদুটে গোল করেছেন জ্যাক গ্রিলিশ ও হুলিয়ান আলভারাজের।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশের পা ঘুরে বল পেয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ান তারকার নিখুঁত ক্রস এরপর খুঁজে নেয় হলান্ডের মাথা। হেডেই চলতি মৌসুমে ৪৩তম গোল পেয়ে যান হলান্ড। আর তাতে অন্যরকম এক সেঞ্চুরিও হয়ে যায় ডি ব্রুইনার। রায়ান গিগস, সেস্ক ফ্যাব্রেগাস, ওয়েইন রুনি ও ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ১০০ গোলে সহায়তা বা অ্যাসিস্টের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন ডি ব্রুইনা।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৮তম মিনিটে সিটিকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন জ্যাক গ্রিলিশ। তিন বছর পর টানা দুই ম্যাচে গোল পেলেন এই ইংলিশ তারকা। যদিও ব্রুইনের পাস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ে শট নেন গ্রিলিশ। তবে প্রথমে সেই আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। তবে ফিরতি বল ডান পায়ের শটে জালে পাঠান তিনি।
মিনিট দশের পরই নান্দনিক এক গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন হলান্ড। ৬৮ মিনিটে গ্রিলিশের ক্রস শূন্যে ভেসে বাঁ পায়ে নেয়া ওভারহেড কিকে থেকে গোল করেন হলান্ড। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় গার্দিওয়ালার দল। তবে মিনিট চারেক পরেই ব্যবধান কমায় সাউথ্যাম্পটন, গোল করেন সেকু মারা।
তিন মিনিটের মাথাতেই ফের ব্যবধান বাড়ায় তারা। এবার গোল করেন আলভারেস। ডি ব্রুইনে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে গোল করেন তিনি।