মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল সাগাইং অঞ্চলে একটি কমিউনিটি হলে বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে। এই হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।
সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জাও মিন তুন মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী পা জি গি গ্রামে কথিত সেনা শাসনের বিরোধীদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ হামলা চালায়।
তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন ইউনিফর্ম পরিহিত অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধা ছিল। কিন্তু ‘বেসামরিক পোশাক পরা কিছু লোক থাকতে পারে’।
তিনি কিছু মানুষের মৃত্যুর জন্য অভ্যুত্থানবিরোধীদের পুঁতে রাখা মাইনকে দায়ী করেন, যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে জঙ্গিবিমানগুলো কমিউনিটি হলে বোমা বর্ষণের মাধ্যমে এই হামলা র চালায়। বোমা বর্ষণের কিছুক্ষণ পর তারা হেলিকপ্টার থেকে গুলিও চালায়। এতে ঘটনাস্থলে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়।
এই অঞ্চলের সাবেক বিধায়ক উ নে জিন লাট স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতিকে জানিয়েছেন, শিশুসহ অনেক লোক নিহত হয়েছেন। প্রথম দিকে হতাহতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি ছিল। পরে এই সংখ্যা বাড়ে।
হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন পা জি গি-এর বাসিন্দা কো অং। তিনি বলছিলেন, মাটিতে ছড়িয়ে থাকা মরদেহগুলো দেখে ‘আতঙ্কিত’ হয়েছিলাম। মোটরবাইকগুলো পুড়ছিল। বোমা হামলায় বাড়িটিও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষ তাদের স্বজনদের খুঁজতে গিয়ে কাঁদছিল।
কো অং ইরাবতি নিউজকে বলেছেন, এই হামলায় আত্মীয়দের হারিয়েছেন। এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে সেনাবাহিনী। তিনি একটি কংক্রিটের সেতুর নিচে লুকিয়ে ছিলেন।