১৬ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান।
গত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে এসি মিলান। এই ড্রর পরও দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকার সুবাদে ২০০৭ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে নাম লেখায় এসি মিলান।
ঘরের মাঠে প্রথম লেগে নাপোলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিলো এসি মিলান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও সিরি এ মিলিয়ে গত ১৬ দিনের তৃতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। সিরি এ’তে এসি মিলান ৪-০ গোলে হারিয়েছিল নাপোলিকে।
দিয়েগো আরমান্দো ম্যরাডোনা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিলো এসি মিলান ও নাপোলি। ২০ মিনিটের মধ্যে এক হালি আক্রমন করেও জালে বল পাঠাতে পারেনি কোন দল।
২১ মিনিটে নিজেদের বক্সে এসি মিলানের রাফায়েল লিয়াওকে ফাউল করেন নাপোলির ডিফেন্ডার মারিও রুই। এতে পেনাল্টি পায় মিলান। পেনাল্টি থেকে নেয়া ওলিভার গিরুদের শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক আলেক্স মেরেত। ২০১২ সালের পর এই প্রথম পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন গিরুদ।
পেনাল্টি মিস করলেও এসি মিলানকে প্রথম গোলের স্বাদ দেন গিরুদই। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে বল নিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে গিরুদকে বল দেন লিয়াও। বল পেয়ে বাঁ-পায়ের শটে গিরুদ গোল করলে ১-০ ব্যবধানে বিরতিতে যায় এসি মিলান।
স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমেনের গোল হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল না হলে দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনতে পারতো নাপোলি। এরপর ৮২ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুর্বন সুযোগ হাতছাড়া করে নাপোলি। এসি মিলানের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ফিকায়ো তোমোরির হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় নাপোলি। স্ট্রাইকার খাভিচা কাভারাটস্খেলিয়ার পেনাল্টি শট রুখে দেন গোলরক্ষক মাইক মেগনান।
ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করলেও দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে গোল পায় নাপোলি। ইনজুরির সময়ে তৃতীয় মিনিটে ওসিমেনের গোলে ম্যাচে সমতা আনতে পারে। শেষ মুর্হূতের গোলে এসি মিলানের কাছে হার এড়ালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় নাপোলিকে।
পাঁচ বছর পর ইতালির দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল সাতবারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান।