সেই কাতার বিশ্বকাপ থেকে শুরু। আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা যেন উড়েই চলেছে। যেখানেই যাচ্ছেন চমক দেখাচ্ছেন। এবার দুই আর্জেন্টাইনের গোলে ভর করে বেনফিকাকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেলো ইন্টার মিলান।
এই ম্যাচের শেষের গল্প অনেকটা লেখা হয়ে গিয়েছিল প্রথম লেগেই। বেনফিকার মাঠে ইন্টার মিলান জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার নকআউটে ৯ বার ২+ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ইন্টার মিলান কখনো বাদ পড়েনি। বিপরীতে নয়বার একই ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়ার পর বেনফিকা একবারের বেশি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
তবে পর্তুগিজ ক্লাবটি এবার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জাগিয়েছে ভালোমতোই। সান সিরোতে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লড়েছে তাল মিলিয়ে। তবে ৩-৩ সমতায় ম্যাচ শেষ করেও ভুগতে হয়েছে ওই প্রথম লেগের কারণেই।
দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে ইন্টার মিলান জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইন্টারের প্রতিপক্ষ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলান।
সান সিরোর ম্যাচটিতে ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইন্টার। লাওতারো মার্তিনেজের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বেনফিকা ডি বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান নিকোলো বারেল্লা।
তবে ৩৮ মিনিটেই সমতা নিয়ে আসে বেনফিকা। ইন্টার-রক্ষণের ভুলে পাহারাহীন ফ্রেডরিক অর্সনেস হেডে বল জালে পাঠান। এবারের আসরে নকআউটে ইন্টারের জালে এটি প্রথম গোল।
প্রথম লেগের দুই গোলে পিছিয়ে থাকলেও বেশ কয়েকবার ইন্টার রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছে বেনফিকা। ৬৫ মিনিটে ইন্টারকে স্বস্তির গোল এনে দেন লাওতারো মার্তিনেজ।
৭৫ মিনিটে লাওতারোকে বদলি করে আরেক আর্জেন্টাইন জোয়াকিন কোরেয়াকে নামান ইন্টার কোচ। তিন মিনিট পর দলকে গোল এনে দেন কোরেয়াও।
৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে তখনই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টারের। তবে শেষের দিকে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে বেনফিকা। ৮৬ মিনিটে আন্তোনিও সিলভা দ্বিতীয় গোল এনে দেওয়ার পর ৯৫ মিনিটে আরেকটি গোল করেন পিটার মুসা। বিদায়ের আগে দ্বিতীয় লেগে ৩-৩ সমতার সান্ত্বনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।