বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ হিসেবে রয়েছে ১৪ টন স্বর্ণ। এ হিসাবে স্বর্ণ মজুদে বিশ্বে ৬৬তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল চলতি মাসে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ মজুদ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেই এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কেন্দ্রীর ব্যাংকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ৮১৩৩ দশমিক ৫০ টন স্বর্ণ রয়েছে। ইউরোপের দেশ জার্মানি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরে। দেশটির মজুদ প্রায় তিন হাজার ৩৫৫ টন স্বর্ণ। জার্মানির পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দেশটিতে রয়েছে প্রায় দুই হাজার ৪৫২ টন স্বর্ণ। এর পরের তিনটি দেশ যথাক্রমে রাশিয়া, চীন ও সুইজারল্যান্ড।
রিজার্ভ বহুমুখীকরণের জন্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই স্বর্ণ মজুদ রাখে। বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে এক যুগ আগে ১০ টন স্বর্ণ সংগ্রহ করেছিল। বর্তমানে দেশে ব্যাংকের মজুদ সোনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ টনে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, বাংলাদেশে যে ১৪ টন স্বর্ণ মজুদ রয়েছে, তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দুই দশমিক ৬০ শতাংশ।
তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ৪৬তম। বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের মজুদ বেশি হলেও তাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ৪৪ শতাংশই সোনা। এদিকে, ৭৯০ টন স্বর্ণের মজুদ নিয়ে নবম অবস্থানে রয়েছে ভারত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২১-২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মজুদ স্বর্ণের মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভল্টে রয়েছে পাঁচ হাজার ৮৭৬ কেজি, যা মোট সোনার ৪২ শতাংশ। এছাড়া ৪১ শতাংশ রয়েছে লন্ডনের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি ব্যাংকে। বাকি দুই হাজার ৩৬২ কেজি সোনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে।
বর্তমানে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ কমবেশি দুই হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে মজুদ থাকা স্বর্ণের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯০ কোটি ডলার। প্রতি ডলার ১০৬ টাকা হিসাবে যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৯ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা।
এছাড়া দাম বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা মজুদ স্বর্ণের দামও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে গত ৩০ জুন রিজার্ভের স্বর্ণের মূল্য দেখানো হয়েছে সাত হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। দাম বাড়তে থাকায় মজুদ থাকা স্বর্ণের মূল্যও বেড়েছে।