মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়রসহ পাঁচ বিশ্বনেতা আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে ২৪ এপ্রিল অফিসে শপথ নেয়ার পরে মো. সাহাবুদ্দিন অফিসে উপস্থিত হওয়ার পরেও বিশ্ব নেতাদের অভিবাদন অব্যাহত রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর. বাইডেন জুনিয়র ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসটো, কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বেরসেট পৃথক বার্তায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানসহ পাঁচ বিশ্বনেতার শুভেচ্ছাসংবলিত পৃথক বার্তা আজ এখানে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র (জো বাইডেন) সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব আমাদের সকলের জন্য আরও শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একসাথে, আমরা আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন সম্প্রসারিত করেছি। একসাথে, আমরা দুর্নীতি মোকাবেলা ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এভাবে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত বিশ্ব তৈরি করে যাচ্ছি।’
বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, মানবাধিকারের অগ্রগতি ও গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষাসহ আমাদের অভীন্ন মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সব বাংলাদেশি ও আমেরিকানদের জন্য একটি অধিকতর মুক্ত, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ভবিষ্যত বিনির্মাণ অব্যহত রাখার লক্ষ্যে বাইডেন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
রিপাবলিক অব ফিনল্যান্ডের প্রেসিডন্ট সাউলি নীনিস্তো তার অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘আমি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অঙ্গণে আমাদের দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক অব্যহত রাখতে আগ্রহী।’
কাজাখস্থানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করায় বাংলাদেশি রাষ্ট্রপতিকে তার আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি আশা করেন, তাঁর (সাহাবুদ্দিন) দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সুসমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় ও আরও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে এবং দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বের পাশাপাশি যে অংশীদারিত্বও রয়েছে, তা আরও সুদৃঢ় হবে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোতে সফলভাবে বেলারুশ-বাংলাদেশ সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, বেলারুশ শিল্প সহযোগিতা, যান্ত্রিক প্রকৌশল, বৈদ্যুতিক পরিবহন, কৃষি, ফার্মেসি, বিজ্ঞান ও শিক্ষার ক্ষেত্রে পারস্পারিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।
আজ সন্ধ্যায় এক অভিনন্দন বার্তায় সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বারসেট বলেন, সুইজারল্যান্ড একটি উন্নয়ন ভবিষ্যত গড়তে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় অবিচল অংশীদার ছিল ও তা অব্যহত থাকবে।
তিনি আশা করেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর হবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদের সহায়তা করতে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’