নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গণমাধ্যম দিবস উৎযাপনের সাথে সাথেই এই দিনে সবার আগে নিজেদের শুধ্রাবার অঙ্গীকার করা উচিৎ জনসাধারণের কাছে। দালালী, চাটুকারিতা, মিথ্যা সংবাদ প্রচার, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে সংবাদকে অতিরঞ্জিত করা কিংবা সত্যকে মিথ্যা বলা ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার দেখতে চায় জনগণ।
সাংবাদিক হয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কলম বিক্রি করা, হিংসাত্মক অবস্থান নেওয়া থেকে বিরত থেকে পেশাদারিত্ব ও পেশাগত ঐক্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে এবং মানবিক সংবাদ প্রচারে স্বচেষ্ট হলে রাষ্ট্র ফিরে পেতে শুরু করবে চতুর্থস্তম্ভ।
সাংবাদিক তৈরিতে সম্পাদকীয় মহলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। প্রশিক্ষন / মতবিনিময় ও বেতন ভাতার দিকে নজর দিতে হবে। সংবাদকর্মী তৈরি করতে গিয়ে বেতন ভাতা আটকে রেখে আমরা যদি চাঁদাবাজ তৈরি করি তবে কেমন করে সাংবাদিক তার নিজের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার লড়াইয়ে বিজয়ী হবে! সংবাদ ও সাংবাদিকের মধ্যকার হারিয়ে যাওয়া সমন্বয় ও মমত্ববোধ ফিরিয়ে আনতে হলে সম্পাদকীয়তায় নৈতিক মূল্যবোধ দৃঢ় থাকতে হবে। পেশাদারীত্বের জায়গা থেকে সাংবাদিক ও সম্পাদক সহলের সম্পর্ক কর্তব্যপরায়ন থাকা অনস্বীকার্য।
এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে সাংবাদিক তার হারানো মর্যাদা ফিরে পাবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারবে। তা না হলে গনমাধ্যমকর্মীর উপর এই বিভৎস নির্যাতন বন্ধ হবার নয় বলে মনে করেন হিউম্যান এইড এর মহাসচিব সেহেলী পারভীন।