যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকে চার কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে তিন কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি ২৭ লাখ ৮ হাজার ৪৭৭ টাকা। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৭৩১ টাকা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে এ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ বুধবার (৩ মে) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের এমন/এস এক্সিলারেট এনার্জি এলপি-এর কাছ থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৭৩১ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫০৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের এ প্রতিষ্ঠান থেকে আরও এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৪৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিষ্ঠান এমন/এস গুনভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সুইজারল্যান্ডের টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৫৬২ কোটি ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ২৬০ টাকা।
ওই সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সুইজারল্যান্ডের একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরও এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪১ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সুইজারল্যান্ডের এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৬২৪ কোটি ৪০ লাখ ২৪ হাজার ২৬ টাকা।
এ ছাড়া ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সুইজারল্যান্ডের এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেসময় ব্যয় ধরা হয় ৬১৮ কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার ৪১৯ টাকা। এ এলএনজি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে চলতি বছরের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এলপি থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৫৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ১২২ টাকা।