পদ্মা সেতু এলাকায় দেশের প্রথম অপেরা হাউজ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা সিডনি অপেরা হাউজের আদলে হাতিরঝিলে ‘ঢাকা অপেরা হাউজ’ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সেখানে জমির মূল্য অনেক বেশি। এ ছাড়া অপেরা হাউজটি সেখানে নির্মাণ করলে হাতিরঝিলে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। এটি চিন্তা করে অপেরা হাউজটি পদ্মা সেতুর আশপাশে নির্মাণ করা যায় কি না, সেরকম একটি প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর আমরা পরবর্তী কাজ শুরু করব। ডিজাইন, ড্রইং তারপর হবে।
অপেরা হাউজের নামকরণের বিষয়ে কে এম খালিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নামে আমরা করতে চাই। এ বিষয়ে নতুনভাবে কোনো প্রকল্প বা ডিপিপির কাজ এখনও করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা পেয়ে আমরা এসব কাজ করব।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ১৭ এপ্রিল সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সাক্ষাতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণে জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা চেয়েছিলেন।
সে সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। জাইকার মাধ্যমে বিগত কয়েক দশক ধরে জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অপেরা হাউজ নির্মাণে বিনিয়োগ একটু কঠিন। তবে এটি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার প্রকল্প হলে বাংলাদেশকে অফিশিয়াল প্রস্তাব পাঠাতে হবে।