বরিশালের সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাওয়া ফেরিঘাটে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, তাঁর গাড়িবহরকে ফেরিতে উঠতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি নেতা–কর্মীদের নিয়ে লঞ্চযোগে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লঞ্চে করে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ইশরাক হোসেন ও তাঁর সঙ্গীরা পৌঁছালে ঘাট এলাকার সব যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় এক নেতার গাড়ি নিয়ে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ইশরাক হোসেন। যদিও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য নেতা–কর্মীরা ঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
এই বহরে থাকা আমিনুল প্রথম আলোকে বলেন, লঞ্চে মাদারীপুর এলেও বরিশাল যাওয়ার মতো কোনো যানবাহন তাঁরা পাচ্ছেন না। কেউই তাঁদের নিতে চাচ্ছেন না। ঘাটে ওই রুটে যাতায়াতের অনেকগুলো মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাঁদের নিতে চাচ্ছে না। বেশির ভাগ মাইক্রোর চালকেরা পর্যন্ত গাড়ি রেখে সেখান থেকে সরে গেছেন।
একজন মাইক্রোর চালক বলেন, তিনি যেতে পারবেন না। তাঁর গাড়ি রিজার্ভ করে রাখা।
অবশ্য আমিনুল বলেন, এখানে কোনো মাইক্রোবাসই যেতে চাচ্ছে না। তাদের বহরের লোকজনদের নিতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে বরিশালের উদ্দেশে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহর মাদারীপুরের মোস্তফাপুর এলাকায় প্রবেশ করলে সেখানকার বিএনপির স্থানীয় নেতা–কর্মীরা শুভেচ্ছে জানান।
পরে ইশরাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সব বাধা পেরিয়ে ভোটার অধিকার আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশে তিনি যোগ দেবেন। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সমাবেশে যোগ দিলে কী হয়, সমাবেশ করলে কী হয়? সমাবেশ গণতান্ত্রিক অধিকার।
বরিশালে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র প্রার্থীদের সমাবেশ হবে আজ বিকেলে। ইশরাক সেখানেই যাচ্ছিলেন।
জানতে চাইলে শিমুলিয়া ঘাটের বাণিজ্য ব্যবস্থাপক শাফায়েত আহমেদ প্রথম আলোর মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০ পর্যন্ত ফেরিগুলোর বেশির ভাগ মাদারীপুরের শিবচর ঘাট এলাকায় ছিল। এপারে যে কয়েকটি ফেরি ছিল, তা–ও পরিপূর্ণ ছিল। এ কারণে বহরের গাড়িগুলো যেতে পারেনি। তিনি বলেন, এই রুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করে। এর মধ্যে ৮–৯টি ওপারে ছিল। এপারে থাকা বাকিগুলোতে গাড়ি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেছে কি না, জানতে চাইলে শাফায়েত বলেন, কখনো কখনো হয়। ফেরি সব ‘ওয়ান সাইডেড’ (নদীর পাড়ের এক পাশে অবস্থান করা) হয়ে যায়