তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে। সুবিধাভোগীরা এ সেবা নিয়ে দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন সাধনে সক্ষম হয়েছে।
আজ শনিবার উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ষ্মার্ট নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস, ভার্মিকম্পোষ্ট ক্ষুদ্র প্রকল্পের উদ্যোক্তা রিনা রানী দত্ত, ও শাহানাজ পারভীন শানু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিরোজপুরে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও জয় ডি-সেট সেন্টার স্থাপন করা হবে। এ লক্ষে পিরোজপুর শহরতলীর পিরোজপুর-নাজিরপুর বাইপাস সড়কের ঝাটকাঠী এলাকায় স্থান নির্ধারন করা হয়েছে এবং অচিরেই নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে ১৫টিসহ সারাদেশে ৫ হাজারেরও বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বরে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি বার কল করে মানুষ বিভিন্ন তথ্য ও সেবা নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করে বিচার ব্যবস্থা পরিচালিত হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার সরকারী সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরিত করায় কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পাকিস্তান আমলে কোন নারীর বিচারকের আসনে বসার অধিকার ছিল না। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে সেই অধিকার নিশ্চিত করেছেন এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের ৪ মেয়াদে শত শত নারী বিচারক এর আসনে বসার সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ‘ষ্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে আমাদের নারীদেরও ষ্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।