জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মা সন্তানের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শ্বাশতকাল থেকেই সন্তানের সফল ও পরিপূর্ণ জীবন গঠনে মায়েদের প্রভাব অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, ‘মায়েদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। মায়ের প্রতি নয় অবহেলা, নয় নির্যাতন, মাকে ভালোবাসতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আজাদ প্রোডাক্টসের আয়োজনে ‘রতœগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এবং ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল) বক্তব্য রাখেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও একজন রতœগর্ভা মা, যিনি শত প্রতিকূলতার মাঝেও সন্তানদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গমাতার মত চারিত্রিক গুণাবলী সকল রতœগর্ভা মায়েদের মাঝেই রয়েছে। কারণ সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁরা অসীম ত্যাগ স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়েদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে সন্তানের পাসপোর্টে পিতার পাশাপাশি মায়ের নাম সংযুক্ত হয়েছে, মাতৃত্বকালীন ছুটি স্ববেতনে ৬ মাস হয়েছে। এছাড়া তিনি দরিদ্র মায়েদের জন্য গর্ভকালীন ভাতাও চালু করেছেন।
স্পিকার বলেন, সন্তানের সঙ্গে মায়েদের সার্বক্ষণিক অন্তরঙ্গ যোগাযোগ থাকে। পরিবারে ওয়ান্ডারফুল ড্যাড হিসেবে পিতাকে রতœগর্ভা মায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে। এসময় তিনি ‘রতœগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২৫ জন এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে ১১জন রতœগর্ভা মাকে সম্মাননা দেন। ‘মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল’ সম্মাননা পান বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে রতœগর্ভা মা, তাদের পরিবার-পরিজন, আজাদ প্রোডাক্টসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।