শেখ হাসিনার সরকার হটাতে বিএনপি টাকা ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে, লবিং করছে, টাকা ছড়াচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হটিয়ে দেওয়া।’
শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ করা হয়।
বিএনপি পদযাত্রার আড়ালে সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গুলশানে বিএনপি গুজবের কারখানা চালু করেছে। এখান থেকে সারাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। নয়াপল্টন এদের মিথ্যাচারের কারখানা। এখান থেকে তাদের গলার জোর, বিষোদগার সমানে চলছে। অনলাইনে আজগুবি মিথ্যা কথা বলছেন বিএনপির নেতারা। এ গুজবের কারখানা বন্ধ করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই জনগণের রোষানলে পড়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা পদযাত্রা করছেন, তারাই জনগণের রোষানলে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ। শেখ হাসিনা বিদেশে নালিশ করতে যাননি। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে গেছেন। বিদেশ থেকে যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাসও পেয়েছেন।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্রের সাময়িক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি শেখ হাসিনা জানেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি। পাকিস্তানে ৩৩ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় ১০০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে ধরে রাখতে পেরেছেন শেখ হাসিনা।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, যতই লাফালাফি করেন, আপনাদের আন্দোলনের দিন শেষ। মানুষ ছাড়া আন্দোলন হয় না। মানুষ বুঝে গেছে মাজাভাঙা দল দিয়ে আন্দোলন হবে না। বিএনপি আন্দোলনের দল নয়- এটা সারাদেশে প্রমাণ হয়ে গেছে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে এজন্য তারা এখন ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানই বলে দেবে দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে। বিদেশি বন্ধুদের বলবো, বিএনপি যতই নালিশ করুক, এ দেশে নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, পক্ষপাতমুক্ত এবং ঐতিহাসিক। এ নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’
বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে অবৈধ দল, অনির্বাচিত সরকার বলেন। আসলে বিএনপি অবৈধ দল। ৯ বছর মির্জা ফখরুল সম্মেলন ছাড়াই মহাসচিব পদে। তাদের দলের ভেতরই গণতন্ত্র নেই, দেশে গণতন্ত্র আনবে কীভাবে?’
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ।