পরিবেশ রক্ষায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নগরায়ণ ও অভিবাসন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শনিবার (২০ মে) ‘পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর হলিস্টিক স্ট্যাডিজ।
এম এ মান্নান বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য আমাদের শিল্পায়ন ও শিল্প নগরী দরকার। কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের পরিবেশের দিকটাও দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নগরায়ণ ও অভিবাসন। এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের সমন্বিত আলোচনা দরকার। আপনারা অংশীদাররা আলোচনা করে আমাদের সমাধানের পরামর্শ দিন। আমরা সেটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতাই প্রথম পদক্ষেপ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। তার নানা কাজের মধ্যে এর প্রমাণ আছে। তিনি আমাদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। আমরা কাজ করি। তিনি হাওর অঞ্চলে আর বাঁধ বা নির্মাণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেটি সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত।
সেমিনারে তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ি হাওর অঞ্চলে। এসব অঞ্চলে রাস্তাঘাটের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা টের পাচ্ছি যে হাওরের মধ্যে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি। বাঁধ নির্মাণে আদতে আমাদের ক্ষতিই হবে। ফলে আমরা বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত যেকোনো প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এছাড়া হাওরের পাখিদেরও রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, আরেকটি নির্দেশনা আছে যে, নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হলে বাধ্যতামূলক ইটিপি স্থাপন করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রিকশায় কোনও পলিউশন নেই। একজন রিকশাওয়ালা ৫০-৬০ বছর ধরে রিকশা চালায়। কিন্তু আমরা কি পারব তাদের শেষ বয়সে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন উপহার দিতে? সমাজে যারা দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষ, তারা কেউই দরিদ্র হয়ে জন্মায় না। সামাজিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে তাদের এ অবস্থা হয়।