পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কই চায় ভারত। জি-সেভেন বৈঠকে অংশ নিতে শুক্রবার জাপানে পৌঁছে এমন মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেজন্য সন্ত্রাস এবং শত্রুতামুক্ত অনুকূল পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব পাকিস্তানের বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের সহযোগিতা চেয়ে আগেও একাধিক বার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা যে সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে না, সরাসরি তাও বলেছে ভারত। তবে বরাবরই ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান মুখে শান্তির কথা বললেও লাগাতার মদত ও আশ্রয় দিয়ে চলেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে। খবর এনডিটিভির
শুধু পাকিস্তান নয়, চীনকেও একই বার্তা দিয়েছেন মোদি। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, ‘ভারত নিজের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় তৈরি। চীনের সঙ্গেও স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক হলে তাতে শুধু এই অঞ্চলের নয়, গোটা বিশ্বেরই উপকার হবে।’
হিরোশিমায় তিন দিনের জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠকে খাদ্য, সার এবং শক্তি সম্পদসহ নানাবিধ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে মোদি ভারতের অবস্থান তুলে ধরেছেন। অতিথি দেশ হিসেবে ভারতকে জি-সেভেন বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বর্তমান সভাপতি জাপান। ২০০৩ থেকে জি-সেভেন বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে ভারত।
বৈঠকের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অন্য সদস্যরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত নিরাপত্তামূলক আলোচনা (যা কোয়াড নামেও পরিচিত) সেরে ফেলেছেন মোদি। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত।
ভারত কি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসবে? এই প্রশ্নের জবাবে মোদি জানান, ভারত বরাবরই শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও। একই সঙ্গে সাহায্যপ্রার্থীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন মোদি। তার কথায়, ‘পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সে জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু’পক্ষের সঙ্গেই আমরা কথাবার্তা চালিয়ে যাব।’