আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গণতন্ত্র ধ্বংসের খেসারত এই ভিসা নীতি। যা রাষ্ট্রের মর্যাদাকে তলানিতে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
সোমবার মার্কিন ভিসা নীতির প্রশ্নে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন আ স ম রব।
বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক অঙ্গীকার ‘গণতন্ত্র’ এবং ‘মানবাধিকার’কে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে ক্ষমতাসীন সরকার ঝেঁটিয়ে বিদায় করার কারণে, বিচারবিভাগসহ প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য কোন ক্রমেই সম্মানজনক নয়। আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গণতন্ত্র ধ্বংসের খেসারত এই ভিসা নীতি। যা রাষ্ট্রের মর্যাদাকে তলানিতে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার মোহে অন্ধ সরকার বাস্তবতাকে অস্বীকার ও উপেক্ষা করার কারণে কোনটা ‘প্রশংসা’ আর কোনটা ‘অপমান’, কোনটা ‘শাস্তিমূলক’ আর কোনটা ‘হুঁশিয়ারিমূলক’ তাও উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিবৃতিতে রব বলেন, ভোটবিহীন সরকার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। ফলে নিষেধাজ্ঞাসহ মার্কিন ভিসা নিয়ন্ত্রণ নীতির প্রশ্নে রাষ্ট্রের অপমান এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকেও আত্মতুষ্টি হিসেবে গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিশ্বে রাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার প্রশ্নটি সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রশ্নে কূটকৌশলের আশ্রয় নেওয়া। শুধু ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য-গণতন্ত্র, সংবিধান ও আইনের শাসনকে জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার। এইসব আত্মঘাতী নীতি রাষ্ট্রকে অভ্যন্তরীণভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে, সেই সাথে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রকে ঝুঁকি ও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো তথাকথিত ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার, সরকারের ভুয়া প্রতিশ্রুতি বিদ্যমান সংকট সমাধানে কোন ভূমিকা রাখবে না।
সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক শাসন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের বিরুদ্ধে জনগণ ক্রমাগত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন-অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা প্রচণ্ড হুমকিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেন আ স ম রব।