বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়া-বেলারুশ জোটে যোগ দেওয়া সবগুলো দেশের জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবস্থা করা হতে পারে। রবিবার রাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে নির্ধারতি সময়ের আগেই বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রুশ ভূখণ্ডের বাইরে এই প্রথম এমন অস্ত্র মোতায়েন করা হলো। এতে পশ্চিমাদের উদ্বেগ বেড়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত লুকাশেঙ্কো সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এটি অবশ্যই বুঝতে হবে যে, মিনস্ক ও মস্কোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এক অনন্য সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেছেন, কেউ কাজাখস্তানের বিরুদ্ধে নয় এবং অপর দেশগুলোরও রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের মতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কেউ যদি উদ্বিগ্ন হয় তাহলে করণীয় একেবারে সহজ: বেলারুশ ও রাশিয়ার জোটে যোগ দিন। আর কিছু লাগবে না। সবার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটি তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি, রাশিয়ার নয়।
রাশিয়া ও বেলারুশ ইউনিয়ন স্টেট এর অংশ। এটি দুটি সাবেক সোভিয়েত দেশের মধ্যে সীমান্তহীন ঐক্য ও জোট।
ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েব। ইউনিয়ন স্টেটে যোগদানের বিষয়ে লুকাশেঙ্কোর প্রস্তাবও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তোকায়েবের কার্যালয় বলেছে, আমি তার কৌতুকের প্রশংসা করছি। কাজাখস্তান ইতোমধ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি বৃহত্তর বাণিজ্যিক জোটের সদস্য, আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রয়োজন নেই। পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের প্রয়োজন নেই। কারণ আমরা পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। আমরা সেই চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।