নরসিংদীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে আহত স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার শিল্পীকে (২৫) উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত আক্তার হোসেন (৩৫) নরসিংদীর টাওয়াদী দাশপাড়া এলাকার মলিন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, সুমি নামে একটি মেয়ের সাথে আক্তার হোসেন বিয়ে করে ঘর সংসার জীবন শুরু করেছিলেন। গত ১ বছর আগে বৃষ্টি আক্তার শিল্পী নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের বর থেকেই শিল্পীকে নিয়ে নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়া পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সম্প্রতি নিজ বাড়িতে যাওয়া ও আগের স্ত্রীর সাথে সম্পর্কসহ পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আক্তার হোসেন তার স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপাতে থাকে। এতে বৃষ্টি আক্তার শিল্পী রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। পরে স্ত্রী মারা গেছে ভেবে আক্তার ঘরের ফ্যানের সাথে রশিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। আশপাশের লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মৃত আক্তারের প্রথম স্ত্রী সুমি বলেন, আমি আমার স্বামীর মা-বাবার সাথে টাউয়াদি দাস পাড়ায় বসবাস করি। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি মা-বাবার সাথেও যোগাযোগ করত না। আজ সকালে শুনতে পাই, সে আত্মহত্যা করে মারা গেছে।
মৃতের খালা সাজেদা বেগম বলেন, আক্তার তার মা বাবার সাথে সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিল্পী তা রাখতে দিতে চাইতো না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলতো। এ ধারাবাহিকতায় এই ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী সদর থানার এসআই শাহিন বলেন, স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করে আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দগজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।