1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন

সওজ প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও মালয়েশিয়ায় অর্থপাচারের অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

যখন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্বব্যাপী জয় জয় কার, ঠিক তখনই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কিছু সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতির অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে। সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলেও কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজদের তৎপরতা যেন থামছেই না। এমনই একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নাম মোঃ আবুল হোসেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ভিটিকান্দি সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, যার বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া সহ তার আওতাধীন সওজের যেসব সম্পত্তির লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেসব সম্পত্তি উদ্ধারের নামে নোটিশ বাণিজ্য করার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর ঢাকার শান্তিনগরে আবুলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট (রুপায়ন এ্যাঞ্জেল, ফ্ল্যাট নং সি-৩৷ ৪র্থ তলা, বিল্ডিং নং০১, ১৫২/২ শান্তিনগর পীর সাহেবের গলি, পল্টন ঢাকা ১২১৭।

যার আনুমানিক বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও প্রকৌশলী আবুল হোসেনের ব্যক্তিগত একটি বিলাসবহুল টয়োটা এলিয়েন ব্র্যান্ডের একটি গাড়িও পাওয়া গেছে। গাড়ির নম্বর: ঢাকা মেট্রো গ-২২-১৩২৩।

গাড়িটি আবুল হোসেনের স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বলে বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় আবুল হোসেনের সন্তান এবং স্ত্রী মালয়েশিয়ায় বসবাস করেন, মাঝে মাঝে দেশে আসা যাওয়া করেন। দেশের টাকা লুটপাট করে মালয়েশিয়ায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন আবুল হোসেন। দেশের টাকা পাচার করে মালয়েশিয়ার বেগম পাড়ায় সম্পদের দুর্গ গড়ছেন আবুল, এমন কথা বলে বেড়াচ্ছেন তারই সহকর্মীগণ। কিন্তু প্রাণভয়ে কোন সংস্থার কাছে অভিযোগ করতে নারাজ তারা। এক সূত্রে জানা যায় মালয়েশিয়ায় রয়েছে তার সেকেন্ড হোম ও ডুপ্লেক্স ভিলা । তার বিভিন্ন সহকর্মীদের মারফতেই জানা যায় প্রচন্ড দুর্নীতিবাজ ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন কমিশন বাণিজ্য সহ সওজের মেয়াদোত্তীর্ণ লিজের জমি নিজ প্রয়োজনে ভাড়া দেয়, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা, ঠিকাদার ও সাপ্লাইয়ারদের কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশন গ্রহণ করা সহ নানান গুরুতর অভিযোগ রয়েছে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। যার সংশ্লিষ্ট জনেরা অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি