টানা দ্বিতীয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাব হিসেবে নাম শীর্ষে রেখে দিলো রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগার অন্যতম সফল ক্লাবটি মাঠের ফুটবলের মতো বাজারমূল্যেও সবার থেকে এগিয়ে।
মার্কিন ব্যবসা সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, এই মুহূর্তে রিয়ালের বাজারমূল্য ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা প্রায় ৬৫ হাজার ৯০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা!
দ্বিতীয় স্থানে আছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ক্লাবের বাজারমূল্য ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার বেশি।
ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্লাব শুধু এ দুটিই। ২০০৪ সাল থেকে ফুটবল ক্লাবগুলোর বাজারমূল্যভিত্তিক তথ্য হালনাগাদ করছে ফোর্বস। প্রতিবারই প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকা ক্লাবও শুধু রিয়াল আর ইউনাইটেডই।
গত এক বছরে রিয়ালের বাজারমূল্য বেড়েছে ১৯ শতাংশ। সংস্কার করা সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি বিনিয়োগ তাদের এই মূল্য বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
অন্যদিকে ইউনাইটেড গতবার ছিল ৩ নম্বরে, এবার তাদের বাজারমূল্য বেড়েছে ৩০ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের ধনকুবের জিম র্যাটক্লিপ ও কাতারের ব্যবসায়ী শেখ জসিম ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করায় বাজারমূল্য হু হু করে বেড়েছে।
ইউনাইটেডের বাজারমূল্য এভাবে বেড়ে যাওয়ায় দুই থেকে তিনে নেমে গেছে লা লিগার ক্লাব বার্সেলোনা। যদিও স্প্যানিশ ক্লাবটির বাজারমূল্য গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১০ শতাংশ, সব মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
দামি ক্লাবগুলোর মধ্যে ৪র্থ থেকে ১০ম স্থানে আছে যথাক্রমে লিভারপুল (৫.২৯ বিলিয়ন), ম্যানচেস্টার সিটি (৪.৯৯ বিলিয়ন), বায়ার্ন মিউনিখ (৪.৮৬ বিলিয়ন), পিএসজি (৪.২১ বিলিয়ন), চেলসি (৩.১ বিলিয়ন), টটেনহাম হটস্পার (২.৮ বিলিয়ন) ও আর্সেনাল (২.২৬ বিলিয়ন)।
চলতি বছরের দামি ক্লাবের তালিকায় সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ২০২১ সালের অক্টোবরে ইংলিশ ক্লাবটির মালিকানায় যুক্ত হয় সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। নিউক্যাসলের বাজারমূল্য গত বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তারা এখন ২২তম অবস্থানে।