1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন

লাদাখে ব্যর্থ সেনাদের ফের হামলার নির্দেশ দেবেন জিনপিং?

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশেই লাদাখে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছিল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রভাবশালী সাময়িকী।
নিউজউহক নামের ওই সাময়িকীতে লাদাখে চীনের সেনাবাহিনীর হামলার ‘নেপথ্যে কারিগর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে শি জিনপিংয়ের নাম। তবে এই আক্রমণে চীন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
লাদাখে চীনের সেনাবাহিনীর এই আক্রমণের পরিণতি ভালো হবে না বলে সতর্ক করেছে নিউজউইক। শুধু তাই নয়, লাদাখে একবার ব্যর্থ হয়ে শি জিনপিং ফের ভারতে হামলার জন্য তার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিতে পারেন বলেও ওই মার্কিন পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং একই সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিরও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লাদাখে আরও একবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নৃশংস হামলার নির্দেশ দিতে চলেছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। নিউজউইকে বলা হয়েছে, ‘দুর্ভাগ্যজনক, জিনপিং ভারতে পিপলস লিবারেশন আর্মির আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রধান কারিগর, তিনি হয়তো ভাবতেও পারেননি যে তার পরিকল্পনা এভাবে ব্যর্থ হয়ে যাবে। ভারতের সীমান্তে চীনা সেনাদের ব্যর্থতার আরও পরিণতি অপেক্ষা করছে।’
নিউজউইকের সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান শি জিনপিং সেনাবাহিনীর এই ব্যর্থতার ফল হিসেবে বাহিনীর উচ্চপদে নিজের পছন্দমতো লোক বসানোর সুযোগ পেয়ে গেলেন। পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনা সেনাদের ব্যর্থতার কারণে আবারও আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি খুব সম্ভবত নিচ্ছেন জিনপিং। সেনাবাহিনীকে সুযোগ না দেওয়ার জন্য নিউজউইকের সম্পাদকীয়তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করা হয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে মস্কোয় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে পূর্ব লাদাখে যে চরম সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে দু’দেশই পাঁচ দফা পরিকল্পনার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, সীমান্ত ব্যবস্থপনা নিয়ে বর্তমান দু’দেশের মধ্যে যে সমস্ত চুক্তি ও প্রোটোকল রয়েছে, তা দু’পক্ষই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে দু’পক্ষই নিজেদেরকে বিরত রাখবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি