বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা যদি তাদের কাজের সীমারেখা অতিক্রম করেন, তাহলে সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। আজ সোমবার ( ৫ জুন ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপির নেতাদের সঙ্গে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির বৈঠক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমার বিস্তারিত (জাপানের রাষ্ট্রদূতের দুই বৈঠক সম্পর্কে) জানা নেই। ছয় মাস আগে অবশ্যই একটা পর্ব গেছে। যদি কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আবার সে ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, যেটা আমরা মনে করি যে তাদের কাজের সীমারেখা অতিক্রম করছে, তাহলে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
রোববার ( ৪ জুন ) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে তার দপ্তরে দেখা করেন। এ সময় বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিইসির কাছে জানতে চান জাপানের রাষ্ট্রদূত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে দেশটির ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি দেওয়াকে সরকার কীভাবে দেখছে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চিঠিটা সংগ্রহ করেছি। অন্যান্য চিঠিপত্রের মতো এখানেও অসামঞ্জস্য আছে। অন্যান্য চিঠির মতো বাড়াবাড়ি আছে। তথ্যের একটা বড় ধরনের ঘাটতি আছে। কংগ্রেসম্যানদের প্রচেষ্টা দুর্বল ও সস্তা।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, কংগ্রেসম্যানদের এই চিঠি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারবে না। এদেশেও রাজনীতিবিদেরা, সংসদ সদস্যরা বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন, অনেকে হয়তো লেখেনও। হয়তো তার বিরুদ্ধেও লেখা হয়, যেটা তিনি জানেন না। তবে এটা নির্ভর করে সরকারপ্রধান বিষয়টিকে কীভাবে নেবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ রকম চিঠি অতীতেও এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। তবে গণমাধ্যমকে এটা যাচাই করে নিতে হবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বিদেশি কারও কাছে ধরনা দিয়ে অথবা কারও সঙ্গে সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে, এভাবে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। সরকার সেই নীতিতেই কাজ করছে।