নগদ সরকারের ডাক বিভাগের একটি সাবসীডীয়ারী কোম্পানী। নগদ সরকারের বিধিবদ্ধ আইনরীতি বিধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম রূপকল্পের বাস্তাবায়ন জনগনের হাতে হাতে ডিজিটাল পদ্ধতি’র মাধ্যম আর্থিক লেনদেন পৌঁছে দিয়ে একুশ শতকের মস্তবড় অগ্রগতি সাধন করেছে। নগদের অগ্রযাত্রা এবং সুনাম ও সাফল্য অকল্পনীয় ভাবে বেড়ে যেতে থাকে। এই ক্রমবর্ধমান বাড়ন্ত গতিকে থামিয়ে দিতে দেশী-বিদেশী একটি সংঘবদ্ধ চক্র উদ্দেশ্যপ্রনোদীত হয়ে নগদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদী কায়দায় মিথ্যা প্রফাকান্ডা গুঁজোব সহ জনমনে বিভ্রান্তি তৈরী করা হচ্ছে। বিষয়’টি নগদ কর্তৃপক্ষে’র নজরে আশায় আইনী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আদালতে মামলাদায় করা হয়েছে। মামলা নং ২৪৯/২১/১৮/০২/২১ সি এম এম আদালত ঢাকা। মামালার আর্জিতে নগদের পক্ষে বলা হয়েছে, গত ৯/২/২০২১ ইং তারিখে দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকায় নগদ কোম্পানি’র অনুমোদন কার্যক্রম নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে। নগদ কর্তৃপক্ষ এই সংবাদের প্রতিবাদ করলে পত্রিকাটি প্রতিবাদ প্রাকাশও করে। কিন্তু প্রতিবাদের অংশটুকু বাদ দিয়ে পত্রিকাটি’র মূল প্রতিবেদনটিকে নগদের প্রতিপক্ষ দেশী-বিদেশী চক্র একটি লিফলেট বিতরন করে। লিফলেট এর ধরন ও বিতরনের কৌশল সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গী কায়দায় ব্যবহার করা হয়। এতে নগদের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুন্ন সহ-আর্থিক সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। সরেজমিনে নগদ কর্তৃপক্ষ লিফলেট ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, এমনকি আল জাজিরা’র প্রচারিত ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ সিনেমার অংশ জুড়ে দেয়া হয়। লিফলেট ও ভিডিও দেশ ব্যাপী-নগদের লাখ লাখ এজেন্টে’র স্থানে বিতরন করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে লিফলেট ছাড়া হয়। অত্যন্ত কৌশলে গোপনীয়তার সঙ্গে জঙ্গীকায়দায় লিফলেট বিতরন করা হয়। নগদ কর্তৃপক্ষ মনে করে এই লিফলেট বিতরনের সঙ্গে জাতীয় আর্ন্তজাতিক ও দেশীয় জঙ্গীগোষ্ঠির সর্ম্পক সহ নগদের প্রতিযোগী অন্য কেও জড়িত থাকার সম্ভাবনা কম নয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আদালতের নির্দেশে তদন্ত দেয়া হয়েছে। পুলিশে’র ইনভেস্টিগেশন বিভাগ তদন্তে মাঠে নেমেছে। আদালতের বেধে দেয়া সময়ে’র মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশও রয়েছে। জেএটিভি’র অনুসন্ধানেও নানা ধরনের তথ্য উপাত্ত বেড়ে আসছে। ডিজিটাল মানি ট্রান্সফারের কোম্পানি গুলোর প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্রে করে রাষ্ট্র ও সরকারের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ সংস্থা ও সরকারের নীতিনির্ধাকদের খোজখবর নিয়ে তদারকির সময় এসছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করে।