পুঁজিবাজারের তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকেই বহাল রেখেছেন সুপ্রীম কোর্ট। গতকাল সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিমটেক্সের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে এই আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম, সাইদ আহম্মেদ রাজা ও শাহ মনজুর আহম্মেদ। অপরদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেন্জ কমিশনের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন এ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন ও কমিশনের আইনজীবী এ এম মাসুম বিল্লাহ।
সিমটেক্স কতৃপক্ষ জানায় দুর্নীতির দায়ে পদচ্যুত সিমটেক্সের বিদায়ী চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে কোন প্রকার সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই গত ২২শে মার্চ ২০২৩ একতরফাভাবেই সিমটেক্সের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পাঁচ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি’র এই আদেশে কোম্পানির নতুন চেয়ারম্যান কে হবে তাও ঠিক করে দেওয়া হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও বর্তমান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সরোয়ার হোসেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পৃথক দু’টি রিট আবেদন করেন। রিট পিটিশন দু’টি আদালত আমলে নিয়ে বিএসইসির পদক্ষেপকে স্থগিত ঘোষণা করে।
হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাদের আপিল আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য গতকাল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে উপস্থাপিত হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ দীর্ঘ শুনানি শেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)আপিল আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টকে সিমটেক্সের পক্ষে করা রিটটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা প্রদান করেন। বিএসইসির এপক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ গঠন বা ভাঙার এক্তিয়ার বিএসইসির নেই। এটি ১৯১৩ সালের কোম্পানি আইনের পরিপন্থি।’