ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন।
বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে একটি বালুবাহী ট্রাক ও এক শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আরও ৩ জন।
নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।
এ ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান। পরে ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়ি ইনচার্জ জুয়েল আহমদ সকাল পৌনে ৯টার দিকে জানান, হাসপাতালে মারা গেছেন আরও ৩ জন।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজির বাজারের দু’দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় তিন ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যায়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, “আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে যাই এবং সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই। আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা আশপাশে সন্ধান চালাচ্ছি, আর কোনও হতাহত কোথাও পড়ে আছে কি না দেখার জন্য।”