সৌদি আরব গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সফরে যুবরাজ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক চলমান অবস্থা থেকে উন্নত করাই এই সফরের উদ্দেশ্য।
কয়েক বছর ধরে ইরান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, তেলের দাম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার পর এই প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে দেশে গেলেন।
ব্লিংকেন ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠকে মূলত আর্থিক সহযোগিতা, ক্লিন এনার্জি ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সফরে ব্লিংকেন অন্য সৌদি নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
সম্প্রতি তেল উৎপাদন দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল কম করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। তেলের বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার।
ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন অব ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসির পরামর্শদাতা রিচার্ড গোল্ডবার্গ বলেছেন, ব্লিংকেনের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- চীন ও সৌদি আরব যেন খুব কাছাকাছি না আসে তা নিশ্চিত করা। ব্লিংকেন সৌদি আরবকে বোঝাবার চেষ্টা করবেন, চীন কেন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে। আর যুক্তরাষ্ট্র সঙ্গে থাকলে সৌদির কী লাভ হবে।