চলতি বছরের পবিত্র হজ উপলক্ষে বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। বুধবার ( ৭ জুন ) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভিসার হার ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর মধ্যদিয়ে সৌদি আরবের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়েছে। ফলে দেশটির লাল তালিকাভুক্ত হওয়ার শঙ্কা কাটলো বাংলাদেশের।
আজ বুধবার (৭ জুন) ৮০ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন করায় হজ এজেন্সিগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে অবশিষ্ট ভিসা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব এজেন্সিকে অনুরোধ জানানো হয়।
গত ৫ জুন সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশের হজ অফিস ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে জানানো হয়, সোমবার (৫ জুন) রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৭ জুনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। কয়েকটি দেশের ভিসা প্রাপ্তির সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম বিধায় ৭ জুনের মধ্যে ভিসা ৮০ শতাংশ সম্পন্ন না হলে সংশ্লিষ্ট হজ অফিসকে লাল তালিকাভুক্ত করা হবে। এসব কিছুর যাবতীয় দায়ভার সেসব হজ অফিসকে বহন করতে হবে।
এমন বাস্তবতায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ ভিসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী হজ এজেন্সিগুলোকে জরুরিভিত্তিতে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ জানায় মক্কার বাংলাদেশের হজ অফিস।
একই সঙ্গে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক কো-অপারেশন বিভাগের প্রতিনিধি আল-হাসান আল-মানাখেরাহ সই করা নির্দেশনাটিও দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, হজ বিষয়ক নানাবিধ চুক্তি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া দেশগুলোর হজ অফিসের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে কিছু কিছু দেশের হজ অফিস লাল তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম সম্পাদনে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব কিছুর যাবতীয় দায়ভার সেসব হজ অফিসের ওপরই বর্তাবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৭ জুনের মধ্যে ভিসা ইস্যুর ৮০ শতাংশ কাজ সম্পাদন করা চাই। এর ব্যত্যয় ঘটলে যেকোনো ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়।
আগামী ২৭ জুন ( চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২১ মে থেকে শুরু হয়েছে হজ ফ্লাইট। এরই মধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী।