সম্প্রতি ভারতের ওড়িশার বালাসোরের বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় তিনশ’ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় এক হাজারের বেশি।
জানা গেছে, সিগন্যালের ভুলে লুপ লাইনে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী একটি ট্রেনকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘করমন্ডল এক্সপ্রেস’ নামের দ্রুতগতির যাত্রীবাহী ট্রেন। এরপর ওই ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি গিয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী লাইনে। সেই লাইনে দ্রুত গতির আরেকটি ট্রেন এসে ওই বগিগুলোর ওপরে উঠে যায়। এতেই ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
এখনও করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রেশ কাটেনি, এর মধ্যেই এবার বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন। চালকের তৎপরতায় কয়েকশ’ যাত্রীর প্রাণ বেঁচে গেছে এ যাত্রায়। এবারের ঘটনা তামিলনাড়ুর তিরুনিনদ্রাভুরের।
রেললাইনের উপর নারকেল গাছের একটি গুঁড়ি ফেলা ছিল। দূর থেকে সেটি দেখতে পান ট্রেনের চালক। সেটি দেখতে পেয়েই ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন তিনি।
রেলপুলিশ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, চালক সময়মতো ব্রেক না কষলে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ত। ফলে হতাহতের মতো ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু চালক লাইনের উপর পড়ে থাকা গাছের গুঁড়িটি দেখেই ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর রেলের কর্মকর্তা ও রেলপুলিশকে খবর দেন তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলের কর্মকর্তারা ও রেলপুলিশ। রেললাইনের উপর থেকে নারকেল গাছের গুঁড়ি সরিয়ে দিয়ে ফের ট্রেনটিকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। রেললাইনের উপর গাছের গুঁড়ি কোথা থেকে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই সেন্থিল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিশ।
জানা গেছে, সেন্থিল তার বাড়ির নারকেল গাছ কেটে রেললাইনের ধারে ফেলে দিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সেই গাছের গুঁড়ি লাইনের উপর ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কে বা কারা এই গুঁড়ি ফেললেন, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে রেলপুলিশ। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে