দেশের বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর জন্য কয়লা জাহাজে আসছে। ভারতের আমদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসছে। কয়লাবাহী জাহাজ মংলা বন্দরে ভীড়ছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। এটি বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেছেন। তার কথার প্রতি আমার আস্থা আছে। যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন। হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যা ঠেকাতে করণীয় শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। হাওর এলাকার আগাম বন্যা প্রসংগ পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমরা জলাভূমির মানুষ। গেল ১৫ বছরে হাওর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের জন্য আমদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন। আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও গ্রহণ করবে না জনগণ। আগাম বন্যা রোধে আমাদেরকে সহনশীল হয়ে চলতে হবে। প্রকৃতিকে বাধা দিয়ে টেকা যাবেনা। প্রকৃতির সংগে খাপ খেয়ে চলতে হবে।
শনিবার সকাল ১০টায় শহীদ মুক্তিযুদ্ধা জগৎ জ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা স¤পাদক আবু সাঈদ খানের সভাপতিত্বে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনিসুল হক, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম আহমদ প্রমুখ।
গোল টেবিল বৈঠকে হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যার দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ,একমাত্র বোরো ফসল রক্ষায় টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ, নদী খনন, বাধ ও সড়ক অবকাঠামো তৈরি করে পানি প্রবাহ নষ্ট, হাওরাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান, বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি কুমার সৌরভ ভূষণ।
বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতি, গণমাধ্যমে কর্মী, কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন বক্তব্য রাখেন।