রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতরা হলেন, মা বৃষ্টি আক্তার (৩৩) ও মেয়ে সানজা মারওয়া (১০)। এ ঘটনায় স্বামী সেলিমকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
বুধবার (১৪ জুন) ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাদেক বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালে নেওয়ার খবর পেয়ে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে আমরা সেখানে যাই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চিকিৎসক মা ও মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় স্বামীর সেলিমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মা-মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিষপানের কোন সিমটম (আলামত) তাদের মধ্যে ছিল না। এজন্য প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেলিম তাদের দুজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
এসআই আরও বলেন, তাদের সাত-আট মাসের আরও একটি সন্তান রয়েছে। সেলিম বর্তমানে বেকার, ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে সংসার চালায়। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। মরদেহ দুটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। নারী পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে, তিনি এলে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে বৃষ্টির মামা সোহেল সিকদার জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিরা গ্রামে। পশ্চিম মেরুল বাড্ডার জামশেদ টাওয়ারের ৮ম তলায় থাকতেন তারা। এটি বৃষ্টির স্বামী সেলিমের নিজের বাড়ি।
তিনি অভিযোগ করেন, রাত আনুমানিক ২টার দিকে সেলিম বৃষ্টির গ্রামের বাড়িতে ফোন করে খবর দেন, বৃষ্টি ও তার মেয়ের অবস্থা ভালো না। তখন গ্রাম থেকে ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়। ওই বাসায় গিয়ে বৃষ্টিকে এক রুমে এবং পাশের রুমে সানজাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এসময় বাসায় ছিলেন সেলিম। ৯ মাসের ছেলে সারিন ছিল প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়ার কোলে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও সানজাকে ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে যাই।