জাপানে সহকর্মীর গুলিতে দুই সৈন্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (১৪ জুন) জাপানের মধ্যাঞ্চলের একটি সামরিক প্রশিক্ষণ রেঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সেনাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ রেঞ্জে নতুন নিয়োগ পাওয়া এক সহকর্মীর হামলায় দুই সৈন্য নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার দেশটির গিফু শহরে অবস্থিত জাপানিজ সেলফ ডিফেন্স ফোর্সেস-এর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিএসডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে সরাসরি গুলিবর্ষণের মহড়ার সময় সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের একজন প্রার্থী তিনজন কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’
এই ঘটনায় একজন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হলেও জিএসডিএফ পরে জানায়, ‘যে তিনজনকে গুলি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্য আরও একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’
জাপান সরকারের মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো এর আগে বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার আরও বিশদ কোনও বিবরণ না দিয়ে কেবল একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সেসময় জানান তিনি।
জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন তরুণ সৈনিক এবং ঘটনার সময় তিনি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন।
পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্থানীয় পুলিশের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সন্দেহভাজন ১৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে অন্যান্য সৈন্যরা আটক করে। প্রশিক্ষণের ওই অঞ্চলটি ক্যাম্প মোরিয়ামার মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং এটির আয়তন ৬৫ হাজার বর্গ মিটারের বেশি।
আল জাজিরা বলছে, জাপানে হিংসাত্মক অপরাধ এবং গুলিবর্ষণ অত্যন্ত বিরল। কারণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে বন্দুকের মালিকানা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। তবে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা উদ্বেগ বেশ বাড়িয়েছে।
২০২২ সালের জুলাইয়ে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রচারণা চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে মারা যান। এছাড়া চলতি বছরের এপ্রিলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার দিকে বিস্ফোরক যন্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। যদিও সেসময় তিনি অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পান।