1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

নির্বাচনে ওয়াকওভার নয়, খেলে জিততে চাই : তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক এটা আমরা চাই। কিন্তু তারা (বিএনপি) পালিয়ে যাওয়ার অজুহাত তৈরি করতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় দল, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানাব। কারণ আমরা ওয়াকওভার চাই না, খেলে জিততে চাই।
আজ শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে, মামলা-গ্রেপ্তার করছে—বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য নাকচ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হয় সেটিই আমরা চাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি সব সময় নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ছুতা তৈরি করতেই এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।
বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন করা নয়, নির্বাচন ভণ্ডল করা বা প্রশ্নবিদ্ধ করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর কারণ, বিএনপির বক্তব্যে মনে হয়, তারা নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়, সেটি পেলে অংশ নেবে, নচেৎ নয়। কিন্তু এ গ্যারান্টি তো জনগণ বা সরকার বা নির্বাচন কমিশন কেউই দিতে পারবে না। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ যে ব্যাপকভাবে অংশ নেয়, সেটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। কোন দল অংশ নিল, তার চেয়েও বড় কথা নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ।
হাছান মাহমুদ বলেন, তবে বিএনপি একটি বড় দল, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানাব। কারণ, আমরা ওয়াকওভার চাই না, খেলে জিততে চাই।
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা-অর্থদাতা হিসেবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মামলা সরকার চালু করতে পারে না। অভিযুক্তদের বাড়িয়ে নেওয়া সময়, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ– এগুলোর মেয়াদ শেষ বা ভ্যাকেট হলে আদালতের নিয়মানুযায়ী আবার মামলা চালু হয়ে যায়। তেমন কিছু সংখ্যক মামলাই চালু হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে, রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে যারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছিল, সেই সব জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা– এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, এর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। জনগণ চায় এর বিচার হোক এবং আপনারা জানেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার, তারা সারা বাংলাদেশে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করে অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা-অর্থদাতাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য সরকারের কাছে দাবি দিচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের অনেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও বিএনপির যেসব নেতারা হুকুমদাতা-অর্থদাতা ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেহেতু এটি জনগণের দাবি, তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। তবে আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ আগামীর সরকার নির্বাচিত করুক।
ঈদের পর বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায়ই তারা এমন কথা বলেন। রমজানের ঈদের আগেও বলেছিলেন ঈদের পরে আন্দোলন। এখন তাদের কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন কি এ বছর না আগামী বছর, সেটিই প্রশ্ন।
গণমাধ্যম নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের ওপর যদি কেউ নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে থাকে, সেটি হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির সময় হুমায়ুন কবীর বালু থেকে শুরু করে সমগ্র বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা মুক্তমনা ছিল, তাদের অনেকের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা, করোনাকালে সাংবাদিকদের কোটি কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া। এগুলো আমাদের সরকারই করেছে।
তিনি বলেন, আজ গণমাধ্যম অত্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ১০টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে ছিল, এখন ৩৮টি, সাড়ে চারশ দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন সাড়ে বারোশ, বেসরকারি রেডিও ছিলই না, এখন অনেকগুলো এফএম আর কমিউনিটি রেডিও, হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন ছিল, এখন কয়েক হাজার। এভাবে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে এবং তা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি