বাবা শচীন টেন্ডুলকার ক্রিকেটের ইতিহাসে কিংবদন্তি ক্রিকেটার। টানা দুই যুগ ধরে ২২ গজকে শাসন করেছেন তিনি। তার পুত্র হয়ে ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যাওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। তবে সেই কঠিন এবং অসম লড়াইতেই নেমেছেন শচীনপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার।
সম্প্রতি আইপিএলেও অভিষেক হয়েছে অর্জুনের। এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলে উইকেটও নিয়েছেন এই পেস অলরাউন্ডার। আর এর পরেই কি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তা-ব্যক্তিদের নজরে পড়ে গিয়েছেন অর্জুন?
বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) তিন সপ্তাহ ক্যাম্পের জন্য ২০ জন ক্রিকেটারকে ডাকে বোর্ড। এই তালিকায় রয়েছেন শচীনপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পারফরম্যান্স এবং সম্ভাবনার ভিত্তিতে এই খেলোয়াড়দের নির্বাচন করা হয়েছে।
আগামী আগস্ট মাসে শুরু হবে এই ক্যাম্প। বহুমাত্রিক গুনসম্পন্ন এসব তরুণ খেলোয়াড়দের দ্রুত অলরাউন্ডার হিসেবে অভিজাত স্তরে রূপান্তর করা যাবে। এ ছাড়া চলতি বছর অনুষ্ঠেয় ইমার্জিং এশিয়া কাপ (অনূর্ধ্ব-২৩) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্যও সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের সন্ধানে নেমেছে বিসিসিআই।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিসিসিআই’র একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির হেড অব ক্রিকেট ভিভিএস লক্ষণের ধারণা থেকে এই অলরাউন্ডার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে মাল্টি স্কিল খেলোয়াড়দের গড়ে তোলা হবে।
অর্জুনকে শিবিরে ডাকা নিয়ে বোর্ডের ওই কর্তা আরও জানান, ‘এই শিবিরে সবাইকে ডাকা হয়েছে এমনটা নয়। শুধুমাত্র অলরাউন্ডারদেরই ডাকা হয়েছে। কেউ ব্যাটিং অলরাউন্ডার, কেউ বোলিং অলরাউন্ডার। ওদের দক্ষতা বাড়ানোই লক্ষ্য। অর্জুনের রঞ্জি ট্রফিতে শতরান রয়েছে। ভালো বাঁহাতি পেসার। ভালো বাঁহাতি ব্যাটার। তার এই বৈচিত্র্যের কারণেই অর্জুনও এই শিবিরে ডাক পেয়েছে।’
এই তালিকায় অর্জুন ছাড়াও রয়েছেন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলা হর্ষিত রানা, দ্বিবিজ মেহরা, চেতন সাকারিয়া, অভিষেক শর্মা, মোহিত রেদকর। হর্ষিত আবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ভারতীয় দলের নেট বোলারও ছিলেন।