টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারা, ভোলাই, পাকলিসহ সব নদনদীর পানি বাড়ছে।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জের ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে এখনও পানি বাড়ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০০ মিলিমিটার।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। জেলার তাহিরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খোলা এলাকার এক কিলোমিটার সড়ক যাদুকাটা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার মাত্র ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
দুপুরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানান, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার সকালে ছাতক পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা হতে পারে।