1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

নিখোঁজ সেই সাবমেরিনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাকরি হারান ইঞ্জিনিয়ার!

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাকরি হারিয়েছিলেন এক বিশেষজ্ঞ। তার নাম ডেভিড লোচরিজ।

জানা গেছে, ডেভিড লোচরিজ একজন সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ। তিনি ‘টাইটান সাবমার্সিবল’ এর নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ডেভিড লোচরিজ সাবমেরিনটির নির্মাতা সংস্থা ওশানগেটে যোগ দেওয়ার জন্য স্কটল্যান্ড থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যে চলে আসেন। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই মিশনটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন।

 

কিন্তু এর এক বছরেরও কম সময় পর তিনি নির্মাতা সংস্থার কর্তাদের সতর্ক করেছিলেন যে টাইটানের কার্বন হালের ত্রুটিগুলো আরও কঠোরভাবে পরীক্ষা ছাড়া সনাক্ত করা যাবে না। এবং এজন্য তিনি নির্মাতা সংস্থা ওশানগেটকে একটি বহিরাগত সংস্থার কাছে ডুবোজাহাজটি প্রত্যায়িত করার আহ্বান জানান।

মার্কিন আদালতের নথি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালেই সম্ভাব্য নিরাপত্তা সমস্যার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন ডেভিড লোচরিজ।

তিনি বলেছিলেন, তার মৌখিক সতর্কতাগুলো উপেক্ষা করা হয়েছিল যতক্ষণ না তিনি একটি প্রতিবেদন আকারে লেখেন। প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়ার ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশ, যিনি নিখোঁজ ডুবোজাহাজে রয়েছেন, বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে একটি বৈঠক করেন।

এরপর ওশানগেট ডেভিড লোচরিজকে বরখাস্ত করেন। শুধু তাই নয়, গোপনীয় তথ্য প্রকাশের জন্য কোম্পানিটি তার বিরুদ্ধে মামলাও করে। অন্যদিকে, সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ ডেভিড লোচরিজও তাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্তের জন্য মামলা করেন। পরে দুইপক্ষ মীমাংসার মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি হয়।

নিখোঁজ সাবমেরিনটি নিয়ে মন্তব্যের জন্য তার আইনজীবীর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে ডেভিড লোচরিজ তাতে রাজি হননি।

আদালতের নথিতে আরও বলা হয়েছে, ডেভিড লোচরিজ জানতে পেরেছিলেন যে, টাইটানের ফরোয়ার্ড ভিউপোর্টের নির্মাতা সংস্থা এটিকে শুধুমাত্র ১,৩০০ মিটার গভীরতার জন্য প্রত্যায়িত করেছিল। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্র পৃষ্ঠের ৩,৮০০ মিটার নীচে অবস্থিত। সূত্র: বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি