তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছেন। রেলওয়েকে ঢেলে সাজানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের উঁচু ও বর্ধিত প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল ৩ হাজার কিলোমিটার আর সড়কপথ ছিল সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার। আজকে সড়ক পথ বর্ধিত হয়ে প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার হয়েছে, আর রেলপথ আরও ২০০ কিলোমিটার কমে হয়েছে ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। ৭২-৭৩ সালে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিল ৬৮ হাজার, যেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৫ হাজার। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় শ্রমিক ছিল ১০ হাজার যেটি এখন কমে মাত্র ১ হাজার ৪০০ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে রেলের সব কিছু বৃদ্ধি পাওয়ার কথা সেখানে কমেছে। তাহলে রেল কত অবহেলিত।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত রেলওয়ে লাইন সম্প্রসারণ করা হবে। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারিত হবে এবং দিনাজপুর থেকে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়া যাবে। যাতে করে পঞ্চগড় থেকে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেলওয়ের মাধ্যমে মানুষ যাতায়াত করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সমীক্ষা কাজ চলছে।
মন্ত্রী বলেন, মোংলা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে মোংলা পর্যন্ত রেল চালু হবে। আমাদের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে রেল চালু হবে। যেদিন পদ্মা সেতু সড়ক পথের জন্য খুলে দেয়া হবে, সেই দিনই ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেল চালু করা হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী (পশ্চিম) জোনের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।