বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন দল দাবি করে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, আমি তাদেরকে (বিএনপি নেতাদের) বলবো, এখনো সময় আছে মানুষের পাশে দাঁড়ান। গঠনমূলক রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। তা না হলে এদেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আপনারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) যুবলীগ আয়োজিত দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপি-জামায়াত সম্পূর্ণরূপে একটা জনবিচ্ছিন্ন এবং সন্ত্রাসী দল, যারা মানুষ হত্যায় সিদ্ধহস্ত। ১৯৭১ সালে এই জামায়াত গণহত্যা চালিয়েছে, পাঁচাত্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু পরিবারের ওপর বেপরোয়া হত্যাকাণ্ডের হোতা হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৮ থেকে ৭৯ সালেও সব হত্যাকাণ্ডের হোতা জিয়াউর রহমান। নিকট অতীতে ২০০১ সালে জোট বেঁধে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগ নিধনে নেমে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তাণ্ডবতো আপনাদের মনে থাকার কথা। সুতরাং, খুন, হত্যার রাজনীতির ক্ষেত্রে এদের উদ্দেশ্য এবং অভিলাস ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এরা শুধু হত্যা, ক্যু এবং সন্ত্রাসই করতে জানে, জনগণের জন্য কিছু করার মুরদ নেই। এখন ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে গেছে!
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের এক শীর্ষ নেতাতো এরই মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। আর এক সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ নেত্রীও পালানোর পথ খুঁজছেন বিভিন্ন অজুহাতে। আপনাদের এইসব নিম্নমানের রাজনীতি আজকের প্রজন্ম বোঝে। তাই এদেশের জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই। এ কারণেই আপনারা এখন পর্যন্ত সব আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
আন্তরিকতার সঙ্গে বৃক্ষরোপণে যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। নামমাত্র দায়সারাভাবে গাছ লাগাবেন না, গাছের পরিচর্যাও প্রয়োজন। এমন জায়গায় লাগাবেন না- মানুষের যাতায়াতের পথে পড়ে এবং পরদিন মানুষ ওই গাছ তুলে ফেলতে বাধ্য হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
গঠনমূলক রাজনীতি না করলে বিএনপি পালানোর পথ পাবে না: পরশ
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিছ মো. শেখ সাগর, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা প্রমুখ।