আবার উল্টো ‘সেভেন’ আকৃতিতে তিন জেলাকে যুক্ত করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে খরচ অনেক কম হবে। আর যদি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার মাঝে সেতুকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয় তাহলে প্রকল্পের খরচ ৩০ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিবিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী ফেরদৌস বলেন, ‘সেতুর নকশা অ্যালাইনমেন্ট কেমন হবে সেসব এখনো অনেক পরের ভাবনা। প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সরকারের নির্দেশ পেলে আগানো হবে। আমাদের আরো অনেক জায়গায় সেতু করা প্রয়োজন। এসব বিবেচনা করে একসঙ্গে একটা সমীক্ষা করা হচ্ছে।’
বিবিএ সূত্র বলছে, যদিও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পথে করা প্রথম সমীক্ষায় ধারণা করা হয়েছিল খরচ হবে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এই পথে সেতু হলে দৈর্ঘ্য হবে ৪.৮ কিলোমিটার। আর প্রস্থ হবে ১৮.১ মিটার। দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক হবে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। নদীশাসনের কাজ হবে দুই প্রান্তে প্রায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের অনেক জায়গায়ই সেতু প্রয়োজন। নির্মাণের আগে গুরুত্ব বিবেচনাও জরুরি। খরচ বিবেচনায় এই সময়ে ওয়াই আকৃতির সেতু করা ঠিক না-ও হতে পারে। আবার তুলনামূলকভাবে অন্য কয়েকটি জায়গায় আগে সেতু নির্মাণ করা দরকার।’
মো. হাদিউজ্জামান বলেন, সেতু নির্মাণের সঙ্গে বড় চ্যালেঞ্জ নদীশাসন। জোর করে নদীকে শাসন করা যায় না। আর সেটা করলে প্রকৃতির প্রতিশোধ কঠিন হতে পারে। তাই নদীর আচরণ ভাবনায় রেখে সেতুর পথ নির্ধারণ করা উচিত। এ ছাড়া নদীশাসন খুবই ব্যয়বহুল। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলো এক বছর হয়েছে, এখনো নদীশাসনের কাজ শেষ হয়নি।
পদ্মা নদীতে নির্মিত প্রথম সেতুর নাম লালন শাহ। ১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু ২০০৪ সালের ১৮ মে উদ্বোধন করা হয়। এরপর এই নদীতে নির্মিত হয় পদ্মা সেতু। আলোচনায় এখন দ্বিতীয় পদ্মা সেতু।
জানতে চাইলে নদী বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, সরকারের কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে ভালো। সেতু করলে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হবে, এটা ভালো দিক। তবে নদী বিবেচনা করে সেতু নির্মাণ করতে হবে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে যেন নদীর জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের দিকটি ঠিক থাকে।