পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একটি নেতৃস্থানীয় অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শান্তি, নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ সমতার উন্নয়নে সংস্থাটির নীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ রোববার (২৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস (ইউএসজি ডিপিও) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তিকেন্দ্রিক বৈদেশিক নীতি নির্দেশনা দ্বারা পরিচালিত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’; বাংলাদেশ শান্তিরক্ষাসহ জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশনে বৈষম্য ও যৌন হয়রানির কোনো জায়গা নেই। সব শান্তিরক্ষী যেন নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে কাজ করতে পারে সেটির কৌশল নির্ধারণ খুঁজে বের করা জরুরি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘকে সমর্থন দিয়ে আমরা নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। সেনা ও পুলিশ ছাড়াও আমাদের নারী বিচারকরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করে অবদান রেখে চলেছেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল জাঁ পিয়ের লাক্রোয়ার বলেন, শান্তি মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এখন সমতা নিশ্চিতের সময়। এজন্য নারীদের জন্য অনিবার্য সুযোগ সুবিধার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড ও পুলিশ মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের সমাপনী শেষ হবে সোমবার (২৬ জুন)।
২০২৩ সালের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর তারিখে ঘানার আক্রায় অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে যে চারটি বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে- এটি তার প্রথমটি।
বাংলাদেশ, কানাডা ও উরুগুয়েসহ আয়োজক হওয়া প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারী’।