ভারত বলছে, তারা ভিয়েতনামকে যুদ্ধজাহাজ দেবে, যা দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার সর্বশেষ ইঙ্গিত। উভয় দেশই এ অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্যান ভ্যান গ্যাং এর বৈঠকের পর ঘোষণা আসে, নয়া দিল্লি ভারতের মিসাইল করভেট আইএনএস কির্পানকে ভিয়েতনামের নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেবে।
নিরপেক্ষ প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাহুল বেদী জানান, মিসাইল করভেট হচ্ছে একটি ছোট যুদ্ধজাহাজ, যেটি মূলত উপকূলীয় প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়।
এক বিবৃতিতে, ভারত সরকার বলছে হ্যানয়কে যুদ্ধজাহাজ দেওয়ার বিষয়টি ‘ভিয়েতনামের জনগণের নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক’ হবে।
২ দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০১৬ সালে শুরু হলেও, গত বছর তারা একটি সামরিক লজিসটিক্স চুক্তি স্বাক্ষর করার পর এ সম্পর্কে গতিবেগের সঞ্চার হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, ২ দেশের সামরিক বাহিনী একে অপরের ঘাঁটিতে মেরামত ও রসদ পরিপূরণ করতে পারবে, যার ফলে যুদ্ধজাহাজ, সামরিক বিমান ও সেনারা খুব সহজেই সফর বিনিময় করতে পারবে। গত বছর ১০ কোটি ডলার ঋণ-চুক্তির মাধ্যমে ভিয়েতনামকে ১২টি দ্রুতগতির প্রতিরক্ষা নৌকা দেয় ভারত।
চীনা যুদ্ধজাহাজ ও নিরীক্ষা নৌযান ভিয়েতনামের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করতে পারে, এ বিষয়টি নিয়ে হ্যানয় উদ্বিগ্ন। বেইজিং বলছে, পুরনো মানচিত্র সূত্রে চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো অংশ নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করে, যার মধ্যে ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের জলসীমার অংশবিশেষ অন্তর্গত।
গত মাসে ভিয়েতনাম চীনকে একটি নিরীক্ষা জাহাজ ও তাদের জলসীমায় প্রবেশকারী কোস্ট গার্ডের জাহাজকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ জানায়। প্রায় ১ মাস কার্যক্রম চালানোর পর জাহাজগুলো ফিরে যায়।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক বেদি আরও জানান, ভারত বেশ কয়েক বছর আগে ভিয়েতনামের কাছে তাদের নিজেদের নির্মিত সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে এ ধরনের কোনো চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি খুব একটা আগায়নি।
খবর ভয়েস অব আমেরিকা