নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঈদে সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করতেন লঞ্চে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা কমেছে। তবে এখনো অনেকেই লঞ্চে যাতায়াত করেন। তাই নিরাপদ লঞ্চযাত্রাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা লঞ্চ যাত্রা নিরাপদ করতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের আরও গবেষণা দরকার জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঈদে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। এখন আর আগের মতো অতিরিক্ত যাত্রী বা ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে না। যাত্রীদের চাপ কম হওয়ায় নিরাপদেই যাত্রীরা লঞ্চে যেতে পারছেন।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, আপনারা দেখেছেন সাম্প্রতিক সময়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনায় অনেক মানুষ মারা গেছে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে এখন আমরা লঞ্চগুলোকে কীভাবে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করা যায় সেই চিন্তা করছি। এর জন্য আমরা ইনস্টিটিউট তৈরি করেছি। নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, নৌপথে যাত্রা নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। আগের মতো এখন আর নৌপথে ডাকাতি হয় না।
লঞ্চমালিকদের যাত্রী কম পাওয়া এবং দীর্ঘ সময় পর পর লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেক যাত্রী। এমন পরিস্থিতির বিষয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে লঞ্চে যাত্রী কমে গেছে তা সত্য। এ খাতে নতুন করে বিনিয়োগে লঞ্চ মালিকদের গবেষণা করা দরকার। কী ধরনের সেবা দিতে পারবো, কতটুকু দিতে পারব।
এর আগে ঈদযাত্রায় ঘরমুখী মানুষের অবস্থা দেখতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় সদরঘাটের পুরো টার্মিনাল ঘুরে দেখেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।