রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এখন মদিনায় অবস্থান করছেন। স্থানীয় সময় গতরাত সাড়ে নয়টায় তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মদিনায় পৌঁছান।
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ দিনে তিনি শুক্রবার বিকেলে কা’বা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন হজ পালনের উদ্দেশে দশ দিনের সফরে রাজকীয় অতিথি হিসেবে সৌদি আরবে আসেন গত ২৩ জুন।
হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে এর আগে রাষ্ট্র প্রধান তাঁর সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ২৪ জুন রাজকীয় অতিথি হিসেবে ওমরাহ পালন করেন।
রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ ২৬ জুন (৮ জিলহজ্জ) সোমবার রাষ্ট্রীয় প্রটোকলে মিনায় যান।
তিনি ২৭ জুন (৯ জিলহজ্জ) আরাফাতের ময়দানে যান। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন অন্যান্য হাজীদের ন্যায় পবিত্র হজ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সেখানে পুরো দিন কাটান।
তিনি সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাত ত্যাগ করেন এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেন।
রীতি অনুযায়ী সকল হজযাত্রীরা সেখানে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটান। ফজরের নামাজ আদায় করে বুধবার ১০ জিলহজ্জ আবার মিনায় ফিরে যান।
রাষ্ট্রপতি সেখানে জামারাত আল-আকাবায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, পশু কোরবানি, মাথা মুন্ডন এবং মক্কায় তাওয়াফ আল-ইফাদাহ ও সাঈ সম্পন্ন করেন।
হজের আনুষ্ঠানিক রীতিতে শয়তানকে পাথর মারার মধ্যে রয়েছে তিনটি স্তম্ভ যা শয়তান এবং পাপের প্রতীকস্বরূপ।
ঈদ-উল-আযহার প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি বড় শয়তানকে ছোট নুড়ি বা পাথর নিক্ষেপ করেন, যা তিনি মুজদালিফা থেকে রাতে সংগ্রহ করেছিলেন।
এই কার্যক্রমটি হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর তিনটি স্থানে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার একটি অনুকরণ। কথিত আছে যে, সেখানে তিনি তাঁর পুত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানি দেওয়ার জন্য আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন।
পরে, রাষ্ট্রপতি আবার মিনা থেকে মক্কার রয়েল প্যালেস যান। গতকাল মক্কায় তিনি বিদায়ী তাওয়াফ করেন। সেখান থেকে মদিনায় যান।
রাষ্ট্রপতি মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন।
সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-৩৩৮) ২ জুলাই মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি আগামী ৩ জুলাই ঢাকায় অবতরণ করবে। সূত্র-বাসস ।