২০১০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন স্পেনের হয়ে মাঝমাঠে খেলেছিলেন সেস ফ্যাব্রেগাস। এরপর বার্সেলোনা ও চেলসি ছাড়ার পর তিনি আর আলোচনায় ছিলেন না। খেলেছিলেন ফরাসি ক্লাব মোনাকোর হয়ে। সেখানে তিন বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষে ফ্যাব্রেগাস ইতালিয়ান দ্বিতীয় সারির দল কোমোতে যোগ দেন। তবে সেখানেই খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি। কোমোর হয়েই এবার কোচিংয়ে মনোযোগী হতে চান সাবেক এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
গতকাল (১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় অবসর ও সিরি-আ’য় কোচিং শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ফ্যাব্রেগাস। আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের হয়ে ১১০ ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডারের পাস থেকেই আসে ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ের গোলটি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনালে তার কাছ থেকে পাওয়া কলে শিরোপাজয়ী গোলটি করেছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। এছাড়া ফ্যাব্রেগাস স্পেনের ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরোজয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন।
৩৬ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার বিদায়ী বার্তায় লিখেছেন, ‘আমার জন্য এটি খুবই দুঃখের ব্যাপার যে, খেলোয়াড়ি বুট-জোড়া তুলে রাখার সময় এসে গেছে। বার্সার হয়ে প্রথমদিন, আর্সেনাল, আবার বার্সা, চেলসি, মোনাকো ও কোমো- সময়গুলো আমার জন্য অনেক দামী। বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরা থেকে শুরু করে দুটি ইউরো জেতা, ইংল্যান্ড ও স্পেনে সব কিছু জেতা এবং প্রায় সব ইউরোপিয়ান ট্রফি জেতার এই যাত্রাটা আমি কখনও ভুলব না।’
২০০৩-০৪ মৌসুমে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আর্সেনালের হয়ে অভিষেক হয় বার্সেলোনার লা মাসিয়ায় ফুটবলের পাঠ নেওয়া ফ্যাব্রেগাসের। এরপর আর্সেনালের জার্সিতে ২০০৫ সালে তিনি এফএ কাপ জেতেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটির হয়ে ৮ বছর খেলার পর ২০১১ সালে বার্সেলোনায় ফেরেন ফ্যাব্রেগাস। যে ক্লাবের হয়ে তিন মৌসুমে ৬টি শিরোপা জয়ের সাক্ষী হন। পরে চেলসিতে যোগ দিয়ে দুইটি প্রিমিয়ার ও একটি এফএ কাপ জেতেন এই তারকা মিডফিল্ডার।
২০১৯ সালের শুরুতে তিন বছরের জন্য তিনি নাম লেখান ফরাসি ক্লাব মোনাকোতে। তবে অনেকটা চমকের জন্ম দিয়ে গত বছরের আগস্টে দুই বছরের চুক্তিতে ফাব্রেগাসকে দলে ভেড়ায় কোমো। বছর ঘোরার আগেই ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্ক বদলে গেল আর্সেনাল ও বার্সেলোনার সাবেক মিডফিল্ডারের। তিনি এবার দলটির ডাগআউটের দায়িত্ব সামলাবেন।