পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগে জামায়াত করলেও অনেকেই এখন আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে পরিচয় দেন। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন সরকারে থাকায় অনেকেই সুযোগ নিতে এমন পরিচয় দিয়ে থাকেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মার্কিন ভিসা নীতির প্রত্যাহার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তিন বাংলাদেশি মামলা দায়ের করেছেন বলে আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এর মূল উদ্দেশ্য কী আমরা তা জানি না। বিষয়টি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। যারা মামলা করেছেন বিষয়টি ওনাদের জিজ্ঞেস করুন। এটা হয়ত মিডিয়ায় বাহবা পাওয়ার জন্য কেউ করতে পারেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসা নীতির প্রত্যাহার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যারা মামলা করেছেন তারা সত্যি সত্যি আওয়ামী লীগের সমর্থক কি না সেটা আগে নিশ্চিত হতে হবে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন সরকারে থাকায় অনেকে আগে জামায়াত সমর্থন করলেও এখন নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। আওয়ামী লীগের কোনো নেতার সঙ্গে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে বলে আমি আওয়ামী লীগের লোক। এগুলো কিছু স্বার্থান্বেষী ও সুবিধাবাদী লোক করে থাকে। এখন তো সুবিধাবাদী লোকের অভাব নেই।
তিনি আরও বলেন, ঈদের সময়ে আমার সঙ্গে অনেকে ছবি তুলেছেন। এদের সবাই তো আওয়ামী লীগ নয়। হয়ত এদের অনেকে ছবি তুলে বলবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ছবি আছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জানা যায়, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ন্যায়বিচারের পদক্ষেপ নিশ্চিত করার বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় আসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি।
সফরের প্রথম দিন তিনি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সফর করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মাদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।