পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দুই-একটা রাজনৈতিক দল না আসলেও বেশিরভাগ দলই নির্বাচনে আসে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিদেশিদের নিজের দিকে তাকানো উচিত। আমেরিকায় সন্ত্রাসী দল নির্বাচন করতে পারে না। আমাদের দেশে সন্ত্রাসী দল থাকতে পারে, তারা না আসলে কিছু যায় আসে না। গ্রহণযোগ্যতা কমবে না।
আজ শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব টকে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে অনেক নির্বাচন হয়েছে। দু-একটি বাদে সব কটি স্বচ্ছ নির্বাচন হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন করব। তবে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সব দল-মতের ইচ্ছা এবং প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা দেশে আসেন দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। কিন্তু অনেক সময় তারা এমন সব কথা বলেন, যা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।
নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের দিক থেকে উন্নত দেশের থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোতে ২৬-৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। আমাদের দেশে ৭০ ভাগ মানুষ ভোট দেয়।
সবাইকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অন্যের পিড়াপিড়িতে না, নিজেদের তাগিদেই ভালো নির্বাচন করতে চাই।
এখন সব দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ করতে আগ্রহী বলে জানিয়ে মোমেন বলেন, দেখেন কত দেশ আসতেছে। আমরা না ডাকতেও আসছে। আমাদের ভাবমূর্তির পরিবর্তন হয়েছে। অনেক বিষয়ে আমরা পৃথিবীর কাছে সম্মানীয়। সব সম্ভব হিয়েছে স্থিতিশীল সরকার থাকায়।
তিনি বলেন, আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এত মানুষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য জীবন দেয়নি। বিদেশিদের এটা জানা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারও কারও ধারণা আমরা চীনের দিকে ধাবিত হয়ে যাচ্ছি। আমরা কারও লেজুড় না। আমরা কারও দিকে ধাবিত হচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমাদের এক নম্বর স্টেকহোল্ডার হলো ভারত। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। আমাকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চান। এ ছাড়া নেপাল, ভুটান সবার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। চীন আমাদের বন্ধু। সৌদি আরব, ইউএই, যুক্তরাজ্য প্রত্যেকটা দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের থেকে ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, ভৌগোলিক কারণে অনেকের নজর আমাদের দিকে। এত দ্রুত উন্নয়নের কারণে আমরা অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছি। এই যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গুম এগুলা সব ভাঁওতাবাজি। বিভিন্ন দেশেই মানুষ হারিয়ে যায় আবার ফিরে আসে। তারা বলে আমাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়। অথচ আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে না।
নির্বাচন নিয়ে সংলাপের বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ করব? যুক্তরাষ্ট্রে কী ডেমোক্রেট আর রিপাব্লিকানরা সংলাপ করে। এগুলো অবান্তর কথা। আমরা আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন করব।