শিরোনামে বিভ্রান্তি লাগতে পারে! ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজে এর আগেও জিতেছিল ইংলিশরা। তবে গত সিরিজে তারা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ধবলধোলাই হয়েছিল। একটি ম্যাচে ড্র বাদে পাঁচ দেখায় বাকিগুলা দখলে ছিল অজিদের। এবার নিজেদের মাটিতে খেলতে নেমেও ইংল্যান্ড টানা দুই ম্যাচ হেরেছে। হেডিংলিতে তৃতীয় ম্যাচে তারা প্রথম জয়ের সুবাস পাচ্ছে। তৃতীয় দিন শেষে জয় পেতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আর মাত্র ২২৪ রান।
বৃষ্টি-বিঘ্নিত তৃতীয় দিনে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময়ে খেলা মাঠে গড়ায়। আগেরদিন ১১৬ রানে ৪ উইকেট অস্ট্রেলিয়া এদিন ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়া ২৬ রানসহ তারা ২৫১ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় স্বাগতিকদের সামনে।
জবাবে দিন শেষ হওয়ার আগে ৫ ওভার ব্যাট করেছে ইংল্যান্ড। যেখানে তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান সংগ্রহ করেছে। জ্যাক ক্রাউলি ৯ এবং বেন ডাকেট অপরাজিত আছেন ১৮ রানে (১৯ বল)। শেষদিকে তারা উইকেট না হারানোর চেষ্টায় ধরে খেলবেন বলে মনে হয়েছিল। তবে ম্যাচজুড়ে পেসারদের দাপট তাদের হয়তো সেই চিন্তা থেকে দূরে রেখেছে। ফলে নিজেদের স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই ব্যাট চালিয়েছেন দুই ইংলিশ ওপেনার।
একই ভেন্যু হেডিংলিতে চার বছর আগে বেন স্টোকসের মহাকাব্যিক এক ইনিংস ইংলিশদের টেস্টে জিতিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজের সেই ম্যাচে ইংলিশদের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রান। চার বছর পর সেই হেডিংলিতে ম্যাচ জিততে তুলনামূলক সহজ লক্ষ্যই পেয়েছে ইংল্যান্ড, তাদের করতে হবে সবমিলিয়ে ২৫১ রান।
চলমান ম্যাচে আগের দুই দিন পেসাররা তাণ্ডব চালালেও, তৃতীয় দিনের নিয়ন্ত্রণ ছিল বৃষ্টির হাতে। বাজে আবহাওয়ার কারণে দিনের খেলা শুরু হতে হতে বেজে যায় স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে পাঁচটা। ৪ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা অস্ট্রেলিয়া ২০.১ ওভারেই হারায় শেষ ৬ উইকেট। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন ট্র্যাভিস হেড। ১১২ বলের ইনিংসটি তিনি ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মিচেল মার্শ এবার করেছেন ২৮ রান।
গতদিন উসমান খাজা ৪৩ এবং মার্নাস লাবুশেন করেছিলেন ৩৩ রান। ৫৯৮ টেস্ট উইকেটের মালিক ব্রডই (৩/৪৫) ইংল্যান্ডের সেরা বোলার। ৬৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন এই টেস্টেই দলে ফেরা আরেক পেসার ক্রিস ওকস। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া মার্ক উড এবার নিয়েছেন ২ উইকেট।