কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের অবমূল্যায়ন ঠেকানো যাচ্ছে না। শুক্রবারও (১৪ জুলাই) দেশটির মুদ্রার ব্যাপক পতন ঘটেছে। গত ১৫ মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এতে শিগগিরই সুদের হার বাড়ানো বন্ধ করতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এ সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় তুমুল চাপে পড়েছে ডলার।
অন্যান্য প্রধান ৬ বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ৭১ পয়েন্টে।২০২২ সালের এপ্রিলের পর যা সবচেয়ে কম।
গত মাসে দৈনিক ভিত্তিতে মার্কিন মুলুকে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। পূর্বাভাসের চেয়ে যা শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কম। মাসিক ও বার্ষিক হিসাবেও সেখানে সিপিআই নিম্নগামী হয়েছে।
ফলে ২০২৩ সালের বাকি সময়ে আর একবার সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড। সেটাও মাত্র ২৫ বেসিস পয়েন্ট। আগে যে সম্ভাবনা ছিল দুইবার। এ প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা শক্তি হারিয়েছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। এক অসি কারেন্সির দর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৮৮ ডলারে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রা ইউরোর মূল্য স্থির হয়েছে ১ ডলার ১২২৯ সেন্টে। গত ১৬ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ৩১১৯ ডলারে। বিগত ১৫ মাসের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি।
জাপানি মুদ্রা শক্তিশালী হয়েছে শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। প্রতি ডলারের দর স্থির হয়েছে ১৩৭ দশমিক ৭১ ইয়েনে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গত জানুয়ারির পর তা সর্বাধিক।
সিডনি ভিত্তিক কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা কৌশলবিদ ক্যারল কং বলেন, নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতির তথ্য বাজারে সুখ বয়ে এনেছে। তাতে স্পষ্ট ইউএস শ্রমবাজার স্থিতিশীল রয়েছে। দেশটির অর্থনীতিও ইতিবাচক অবস্থায় আছে।