সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারত আঞ্চলিক মুদ্রায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পন্ন করতে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে। শনিবার আমিরাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে এই সই হয়।
ফ্রান্স সফর থেকে ফেরার পথে ঝটিকা সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদ তাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান। সেদেশের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে মোদির জন্য যে ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ নিরামিষ রাখা হয়েছিল। এহেন আতিথেয়তার সাথে একাধিক হাইভোল্টেজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ভারতের। তারমধ্যে অন্যতম হলো, আঞ্চলিক মুদ্রা দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘিরে মৌ চুক্তি।
আমিরাতে পৌঁছেই মোদি বলেছিলেন, ‘আমি আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদের সাথে বৈঠক করার জন্য অপেক্ষা করছি’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমেত একাধিক বিষয়ে একযোগে উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, ও একসাথে পথ চলার কথা বলা হয়েছে। যে সব মৌ চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তারমধ্যে হলো, আমিরাতের সেন্ট্রাল ব্যাংক ও ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের মধ্যে দুটি মৌ চুক্তি। এই মৌস্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দেশের আঞ্চলিক মুদ্রা বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশের ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। দুই দেশের চুক্তিতে ভারতের এফপিএস ও ইউপিআইয়ের সাথে আমিরাতের ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মকে সংযুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও আরো একটি চুক্তি সেখানে স্বাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দিল্লি আইআইটি এবার ক্যাম্পাস খুলবে আমিরাতে। ভারতে এর আগেও এক আইআইটি তাদের ক্যাম্পাস বিদেশে বিস্তার করছে। আইআইটি মাদ্রাজ সদ্য ঘোষণা করেছে তারা তানজানিয়ায় ক্যাম্পাস খুলতে চলেছে।
শনিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমিরশাহিতে পৌঁছতেই তাকে সেদেশের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ কাসের-আল-ওয়াতালে সাদরে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ বিন জায়েদ আল নায়েহান। এদিন মোদি তার ভাষণে বলেন, ‘ গত বছর কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের পর ২০ শতাংশ বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য।’