জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো শুক্রবার বলেছে, লাখ লাখ সুদানি নাগরিক জরুরি চিকিৎসা এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা নিতে পারছেন না। কারণ, লড়াই-এর কাণে দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংসের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবিক বিষয় সংক্রান্ত সমন্বয় দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, সহিংসতা এবং ‘সরবরাহের ঘাটতি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতি বা দখল এবং চিকিৎসা কর্মীদের ওপর হামলা’ মানুষের জীবন এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা লাভ করার সক্ষমতার ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা জানিয়েছে, তিন মাস আগে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৫০টি হামলা হয়েছে। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ১০ জন; আর ২১ জন আহত হয়েছেন।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার জরুরি কার্যক্রম পরিচালক রিক ব্রেনান বলেন, ‘চলমান সহিংসতা, ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বারবার আক্রমণ এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণে সীমিত প্রবেশাধিকার, সুদানের জনগণকে জীবন অথবা মৃত্যুর মতো পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আর, এ পরিস্থিতির কোনো তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক সমাধান দেখা যাচ্ছে না।’
কায়রো থেকে ব্রেনান বলেন, সহিংসতা অত্যান্ত মৌলিক স্বাস্থ্য সেবার ওপর প্রভাব ফেলেছে। এমনকি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো সাধারণ সংক্রামক ব্যাধি এবং ট্রমা চিকিৎসা ও প্রসূতি যত্ন-সহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রভাব ফেলেছে সহিংসতা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, সুদানে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের জরুরি স্বাস্থ্য-সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু এখন খুব কম সংখ্যক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সচল রয়েছে।
ব্রেনান বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ থেকে ৮০ শতাংশ হাসপাতাল সেবা প্রদানের যোগ্য নয়। আর, ‘পশ্চিম দারফুরে মাত্র একটি হাসপাতাল চালু আছে; আর, তা-ও আংশিকভাবে।’