জি-২০ সম্মেলনে আয়োজক দেশ ভারত বাংলাদেশকে ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে আমন্ত্রণ করায় দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া, সম্মেলনে সাইড লাইনে দুই দেশের অর্থমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে জি-২০ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলনে সাইড লাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের শুরুতে ভারতের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশের অর্থমন্ত্রী বিশদ আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভারতের নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি নাম মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতের সঙ্গে রয়েছে আমাদের ইতিহাসের, ভাষার, সংস্কৃতির, মনমানসিকতার গভীর সমন্বয়। রয়েছে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার সমৃদ্ধ ইতিহাস।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জি-২০ জোটে বাংলাদেশ সদস্য না হওয়া স্বত্বেও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ‘গেস্ট কান্ট্রি’র মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। আয়োজক দেশ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এজন্য দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে ততই দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে।
দুই দেশের অর্থনীতির এলাকায় সহযোগিতা বাড়ানোর জায়গাগুলো চিহ্নিত করে একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন নির্মলা সীতারমণ। এসময় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখতে ভারতের অর্থমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান মুস্তফা কামাল।